মোঃ মুক্তার হোসেন রিপোর্টারঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচডার সামটা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ফুটবল ও টিউকল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনায় দুপক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। সোমবার সকালে সামটা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে । সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে ,২৮ শে নভেম্বর রোজ রবিবারের নির্বাচনে টিউকল মার্কায় ভোট দিয়াকে কেন্দ্র করে মূলত এই ঘটনাটি ঘটেছে । এবিষয়ে সামটা ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জিয়া মেম্বারকে ( টিউ কল মার্কায়) ভোট দিয়েছে বলে ( ফুটবল মার্কা) ইদ্রিস আলী সাহাজিৱ সমার্থকরা জিয়ার কর্মীকে সামটা বাজারে আসলে তাকে মারধর করেছিল। সে সময় বাজারে থাকা অবস্থায় জিয়ার ভাই রেজা তাকে ঠেকাতে গেলে তাকেও শাবল দিয়ে মারধর করে। সে ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় তাকে সাতমাইল জোহরা মেডিকেলে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তার হাবিবুর রহমান ।
এবিষয়ে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলাম জিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,তার টিউকল মার্কার কর্মিরা সকালে (সামটা) বাজারে আসলে ইদ্রিস আলী শাহাজির লোকজন তাদেরকে মারধর করে।এই ঘটনায় তার ভাইসহ পাঁচ ছয়জন আহত হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন,আমি বারবার মেম্বার হিসেবে নির্বাচত হই বলে আমার প্রতি তাদের এতো আক্রশ।আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে তারা।
এঘটনায় ফুটবল প্রতিক ইদ্রিস আলী শাহাজির কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমি ফুটবল প্রতিক নিয়ে সামটা ওয়ার্ডে নির্বাচন করি।আমার প্রতিপক্ষ জিয়া টিউকল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে।সকালে আমার সমার্থক কর্মির বাড়িতে এসে হামলা করে মারধর করে তার লোকজন।আমি জিয়ার কাছে ফোন দিয়ে বলি সমার্থক তো সবারই থাকতে পারে ।তাই বলে এভাবে মারধর করা কি উচিৎ।সে আমাকে বলে বিষয়টা দেখছি।কিন্তু সে দেখেনি।তারপর তার লোকজন রামদা,রড লাঠিসোটা নিয়ে আমার লোকজনদের উপর হামলা করে।আমি এঘটনার সুষ্ট বিচার চাই।
এবিষয়ে সামটা দক্ষিনপাড়ার হবিবর রহমান হবি ড্রাইভার বলেন,আমরা কয়জন মিলে বাজারে বসে গল্প করছি কিছুক্ষন পরে শুনি ফুটবলের সমর্থক কামালের বাড়ি ঘেরয়া করেছে।তখন এরা চারিদিকে ফোন দিলেও কোন কাজ হইনি। কিন্তু আমরা চিন্তা করলাম আমরা তিন চার ভ্যান লোকজন নিয়ে বাগআঁচড়ায় চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করবো আর বলবো আমরা ইদ্রিস আলীর আর আনারসে ভোট দিছি বলে আমাদের প্রতি তাদের এই আক্রশ।
এবিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে সেখানে গিয়ে বুঝিয়ে এসেছি এবং থানায় অভিযোগ দিতে বলি উভয়কে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি থানায় ।অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।