প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২৭ নভেম্বর শনিবার আনুমানিক ৬৩০ ঘটিকায় র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি আভিযানিক
দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন কেন্দুয়া কাঞ্চন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত
হত্যাকান্ডের সাথে এজাহার নামীয় পলাতক আসামী নিহতের স্বামী মোঃ সুজন মিয়া (৩৩), পিতা-মোঃ আজগর আলী, জেলাজামালপুর’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, প্রায় ০৩ বছর পূর্বে আসামী মোঃ সুজন মিয়া ইসলামী
শরীয়া মোতাবেক ভিকটিম জোনাকি আক্তার জুনিকে বিয়ে করে। নিহত জোনাকি আক্তার জুনি মোঃ সুজন মিয়া এর ২য় স্ত্রী। গত
০১ বছর যাবত ভিকটিম জোনাকী আক্তার তার পিতা-মাতার সহিত কুনিয়া তারগাছ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে
আসছিল। ধৃত আসামী সুজন মিয়া নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন কাঞ্চন এলাকায় বসবাস করে এবং মাঝে মাঝে
ভিকটিমের বাসায় আসা-যাওয়া করত। গত ০১ মাস ধরে নিহত জোনাকি আক্তার পরকীয়া প্রেমে জড়িত বলে সুজন মিয়া সন্দেহ
করত এবং এর জের ধরে তারা প্রায়শই জগড়া করত। গত ২৬/১১/২০২১ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬০০ ঘটিকার সময় মোঃ
সুজন মিয়া ভিকটিম জোনাকী আক্তারের পিতার বাসায় আসে। বাসায় গিয়ে স্ত্রী জোনাকি আক্তার’কে না পেয়ে তার মোবাইল
ফোনে ফোন দিলে সে বাইরে আছে বলে জানায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম জোনাকি তার
বাসায় আসলে আসামী সুজন মিয়া ভিকটিম জোনাকি আক্তার’কে ছাদে নিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে উভয়ের
মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধৃত আসামী সুজন মিয়া তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে
গলায় আঘাত করতঃ ভিকটিমকে হত্যা করে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।