গাইবান্ধা প্রতিনিধি :গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় একটি কলেজ কমিটিকে কেন্দ্র করে সুইগ্রামের কৃষক হাসান আলী নামে কৃষককে হত্যার দায়ে পলাশবাড়ীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক স¤পাদকসহ আটজনকে আমৃত্যু কারাদ- দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টায় জ্যেষ্ঠ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন।
দ-প্রাপ্তরা হলো- পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লেবু, আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহআলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব। তাদের সকলের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলায়। রাষ্ট্রপক্ষের সাবেক আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের একটি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক স¤পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুল ইসলামের লোকজন আব্দুলের উপর এলোপাথারি হামলা চালায়। এ সময় আব্দুলকে বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী সুইগ্রামের কৃষক হাসান আলী এগিয়ে এলে তিনিও গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসান আলীর বড় ভাই আবুল কাশেম ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ১০/১৫ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নজরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে পিপি শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, পুলিশ এ মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া চলার পর আদালত আটজনকে আমৃত্যু কারাদ- ও একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও সাত বছর কারাদ- দিয়েছে। এই মামলায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।