) ঃ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কালুহাজী রোড এলাকায় বাসিন্দা নিরাপত্তা প্রহরী ছৈয়দ আলী সবুজের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ ও জিডি করা হয়েছে। একই এলাকার আলী আজগর ও পারভেজ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী ও হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
কালুহাজী রোড এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আলী আজগর অভিযোগে উল্লেখ করেন, একই এলাকার মজিবুল হক দেওয়ানের ছেলে ছৈয়দ আলী সবুজ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা প্রহরী। তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রহরী যখন কোটিপতি ও বিভিন্ন শিরোনামে কয়েকটি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ছৈয়দ আলী সবুজ ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে সরকারি চাকরি করে ছৈয়দ আলী সবুজ রাতা রাতি কি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হলো গণমাধ্যম কর্মীরা স্বউদ্যোগে অনুসন্ধান করে এসব সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে আমার কোন হাত নেই। তবু সৈয়দ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে পারভেজ জানায়,একই কারণে সৈয়দ ২৩ অক্টোবর দুপুরে আমার বাড়িতে গিয়ে মায়ের সামনে উল্টা পাল্টা কথা বলতে থাকে। তার বাড়িতে যেন গণমাধ্যম কর্মীরা না যায় সে সমাধান করে দিতে বলে। তখন আমি তাকে বুঝাই গণমাধ্যম কর্মীরা গেলে আমি কি করে তাদের থামাব। বার বার সে একই কথা বলতে থাকলে বিরক্ত হয়ে তাকে আমার ঘর থেকে বের করে দেই। এতে সে আমার বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে থানায় গিয়ে জিডি করে। সে আমার বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানী করার অপচেষ্টা চালিয়ে আমার ক্ষতি করতে পারে বলে আসঙ্কা করায় তার বিরুদ্ধে পাল্টা জিডি করি।
স্থানীয়রা জানায়, নদী ভাঙনে সর্বসান্ত হয়ে জীবীকার জন্য বরিশাল থেকে সপরিবারে সিদ্ধিরগঞ্জের কালুহাজী রোড এসে মাসিক আটশত টাকা ভাড়ায় ঠাঁই নেন ইসমাইল মাষ্টারের বাড়িতে। করতেন দিনমজুরের কাজ। পরে ঢাকা মতিঝিল দিলকুশার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি নেয় ছৈয়দ আলী সবুজ। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। মাত্র কয়েক বছরে সবুজ কি করে এত টাকার মালিক হলো এটা শুধু গণমাধ্যম কর্মীই নয় এলাকাবাসীরও প্রশ্ন।