শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) কেশবপুরে শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস এই প্রতিপাদ্যে নিয়ে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল দিবস নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার ( ১৮অক্টোবর ) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচির মধ্যে সকাল ৭টায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে অস্থায়ী রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ মিলানয়াতন কক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রজেক্টটরের মাধ্যমে শেখ রাসেল দিবস ২০২১ উদযাপনের বিষয়ে প্রচার, ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার ও তালের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কেশবপুর কার্যালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ আব্দুস সামাদ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক চম্পা, নবাগত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মাদ আলী, কেশবপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আজিজুর রহমান প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল ছোট বয়সেই মানবিক, নেতৃত্ব সুলভ আচরণ, পরোপকারী গুনাবলির অধিকারী ছিলেন। বেঁচে থাকলে আজকের ৫৭ বছরের মানুষটি হয়ে উঠতেন সমাজের মাঝে বহু গুণাবলির ব্যক্তিত্ব। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, বর্বর ও নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যাকান্ডের সঙ্গে শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছে। বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায় এই নির্মম হত্যাকান্ড। সেদিন খুনীরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার চিহ্নটুকুও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। বাংলার মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুবর রহমানের সাথে-সাথেই শেখ রাসেলও অনির্বাণ ভালোবাসা হয়ে বেঁচে থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আব্দুর রহমান।
উল্লেখ্য, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর সড়কের ৬৬৭ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু, খুনি-ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছিল। শিশু রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজিব সাহা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার সরদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালি রানী, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।