শামীম আখতার,বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে স্বামীর উপর অভিমান করে বসত ঘরের আড়ার সাথে নিজের ব্যবহৃত ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে রিক্তা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মধ্যকূল গ্রামে আত্নহত্যার ঘটনাটি নিয়ে এটা আত্নহত্যা না কি হত্যা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আত্নীয়-স্বজনদের ভেতর। এ ঘটনায় নিহতের মামা ইমরান হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার খিড়িঞ্চি গ্রামের মৃত ফরিদ হোসেনের মেয়ে রিক্তা খাতুনের সাথে এক বছর আগে মধ্যকুল গ্রামের সাইফুল সরদারের ছেলে মাসুদুল সরদারের (২৮) বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন সময় মনোমানিল্য হয়ে আসছে। তারই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে শুশুর-শাশুড়ীর বসত ঘরের আড়ার সাথে নিজের ব্যবহৃত ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, আত্নহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য শনিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।