গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা চত্বরের উপজেলা পরিষদের পুরাতন দ্বি-তল ভবন ও উপজেলা পরিষদের পুরাতন হলরুম নিলাম ভেল্কিবাজির মাধ্যমে পানির দামে বিক্রির গুঞ্জন উঠেছে। ডাককারীদের সিন্ডিকেটে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতছাড়া হওয়ায় জেলাজুড়ে সচেতন মহলের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
নিলাম মূল্যে উপজেলা প্রশাসনের দ্বিতল ভবনের লোহার কলাবসেবল গেট, নিরাপত্তার জন্য লাগানো বারান্দার গ্রিল, দরজা, জানালা, প্রাপ্ত ইট ও রডগুলোর একত্র মূল্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তাদের ধারণা ডাককারীরা একটি সিন্ডিকেটে অংশ নিয়ে কৌশলে ডাক দিয়ে সরকারের অর্থ লোপাট করেছে। এমন দুর্নীতিতে সচেতনমহল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে পুনরায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আহবান জানিয়েছেন।
গতোকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু হলরুমে বিকাল ৩টার দিকে ভবন দুটির নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে ৪ জন ডাককারী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম মাত্র ৬০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো এ ভবনেই সব অফিসের কার্যক্রম চলছে।
সূত্রে জানা যায়, ২৬ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ এর স্মারকমূলে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাইবান্ধার ২ সেপ্টেম্বরের স্মারকমূলে পুরাতন দ্বি-তল ভবন এবং পুরাতন হলরুম অপসারণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় প্রকাশ্য নিলাম ডাক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৬ সেপ্টেম্বর নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে শর্তাবলীতে শেষ শর্তে নিলাম ডাক গ্রহণ/বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে নিলাম কমিটি সংরক্ষণ করে উল্লেখ থাকলেও নিলামে দরদাতারা কৌশলে পানির দাম হাকালেও তা গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তাহাজ্জত হোসেন মূল্য নির্ধারণ করেছেন। বিধি মোতাবেক নিলাম ও সর্বোচ্চ দরদাতা ৬০ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এর সাথে ভ্যাট-আয়কর যুক্ত হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তাহাজ্জত হোসেনের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, ভবন এবং হলরুম দুটিই জরাজীর্ণ। তবে ভবন দুটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ জানতে চাইলে ওই মুহূর্তে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। অপর এক প্রশ্নে তিনি ভবনের প্রকৃত মূল্যের বিষয়ে কোন উত্তর দেন নাই। অর্থাৎ নিলাম থেকে প্রাপ্ত মূল্য ৬০ হাজার যথাযথ।