April 25, 2024, 11:12 am

সাতক্ষীরা পৌরসভার 90000 হাজার ভোটারের দেখাশোনা করার দায়িত্বে ১৩ জন

সাতক্ষীরা পৌরসভার 90000 ভোটারের দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিয়েছেন একজন মেয়র এবং 12 জন কাউন্সিলর। এই পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধি পৌরমেয়রপ্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন ।দেখে মনে হবে মেয়র এবং কাউন্সিলররা খুবই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের খাওয়ার সময় নেই। কাজ করতে করতে যেন শরীরটা ভেঙে গেছে। ভোট আসছে ।বহু মানুষ আবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর আশা পোষণ করেন। ভোটের কমপক্ষে এক বছর পূর্বে পোস্টার, লিফলেট দিয়ে পৌরসভার মোড়ে মোড়ে ভরে ফেলেন। ভোটের মাসখানেক পূর্বে লিফলেট বিতরণের জন্য কিছু কর্মচারী চুক্তিতে ভাড়া নেন, যাতে তাদের নাম প্রচার ও প্রসার ঘটে। এসব দাবি সংবলিত লিফলেট ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌছায। এ যেনএলাহি কান্ড। 90000ভোটারের বাড়ী বাড়ী পোস্টার লিপলেট পাঠানোর হিড়িক। ফেসবুকে লাইভ করে,কমেন্ট করে, শেয়ার করে। কিন্তু প্রচারে কষ্ট হচ্ছে না। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মধ্যে, পাড়ার মধ্য দিয়ে যেসব রাস্তাঘাট চলে গিয়েছে তার উপর দিয়ে চললে মোটামুটি বোঝা যাবে রাস্তা ঘাটের কি অবস্থা ।আবার বিভিন্ন বাড়ির় ময়লা আবর্জনা অপসারেণ এ যে দুরবস্থা তার বর্ণনা করা কঠিন,,,।আর অন্যপৌরসভা় কেমন আছে, সেটা আমি জানিনা ।কিন্তু পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর বৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নেতৃবৃন্দ এই পৌরসভা নিয়ে যে পরিমাণে দুশ্চিন্তায় আছেন,ভবিষ্যতে পৌরসভার রথী-মহারথীরা না জানি আবার করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন সে ভয় তো আছেই ।পৌর কমিউনিটি মার্কেটস, পৌরসভায় পৌরবাসীর আবাসিকপল্লী এবং প্রবাসীর জন্য সুপেয়় পানি সরবরাহর ব্যবস্থার কথা মাঝে মাঝে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বলে যাচ্ছেন ।তাতে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের মনে মনে খুব রাগ হচ্ছে। এসব রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কোন কাজের ক্ষমতা নেই, শুধু শুধু মাইক বাজী করে ,গলাবাজি করে ।আবার জনপ্রতিনিধিদের পিছনে লাগে ।কিন্তু জনগন যদি তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে কোনো সমস্যার কথা বলতে পারবে না যদি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে কোনো কথা বলতে না পারে ,তাহলে কাদের কাছে বলবে ?এ ধরনের কথা বলার জন্য সচেতন জনগন তো ঐক্যবদ্ধ হবেই।এবং বাজারের মধ্যে যদি 1000 ভোটার পৌরসভার সমস্যা নিয়ে সচেতন ভাবে সঙ্গবদ্ধ হয়ে কথা বলতে পারেন, তার জন্য জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন সামাজিক সংগঠন বা সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয় থাকেন ,এই সংগঠনগুলোর জনগণকে সচেতন করা উদ্বুদ্ধ করার কাজগুলো করেন,তাহলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চাপ বোধ করেন। একটু নড়েচড়ে বসেন। পৌরসভার বিভিন্ন পাশ দিয়ে রাস্তার পরিকল্পনা করতে পারবেনা, বাড়ি ঘর নির্মাণে কি পৌরসভার নীতিমালা অনুসারে কোন কাজ হবে না,এটা কি হয়? বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠলে তাতে কি পুরসভার আর্থিক লাভ হতো না ?পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে কি কোন অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিকল্পনা পৌরসভার আছে? পৌরসভার মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ,রাজনৈতিক সংগঠন যেসব সমস্যা নির্ধারণ করছে সেসব সমস্যা সমাধানে কি কি করনীয় সে ব্যাপারে খোলা মন নিয়ে আলাপকরলে অসুবিধা কোথায়? প্রাণসায়র ভালো করে বেঁধে দিয়ে পাবলিক চ‌লার ব্যবস্হা করে দিলে এবং খালের পাশ দিয়েযাওয়ার ব্যবস্থা থাকলে তো আর মানুষ জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে বাচে। সে ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের একসাথে বসতে পারেন না, সেখানে যদি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য উপস্থিত থাকে তাহলে খাল কাটা মাস্টার প্ল্যানের তৈরি হওয়া কঠিন নয়। সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ,,ভূমি অফিসবিদ্যুৎ অফিস, মধ্যে অবস্থিত এই সব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পরিবেশ থাকে তখন কি মানুষের মন মেজাজ ঠিক থাকে ?তাইঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার এই নীতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য আসুন জনগণের জন্য খোলা মন নিয়ে নির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলারদের কাজগুলো নিয়ে মতবিনিময় করবেন।

সংসদ সদস্যদের কাছে জানতে চাইব তারা কি সত্যিই জনগণের সেবা দিয়ে সংবিধানের সাথে যে শপথ করেছেন, সে ব্যাপারে সচেতন কিনা ,আধুনিক যুগে মানুষ সমস্যায় পড়লে কথা তো বলবেই। সেটা ফেসবুকে বলুক আর পত্র-পত্রিকায় বলুক আর টেলিভিশনের সামনে বলুক ।এই বলাবলি নিয়ে কত কথা হচ্ছে ,সরকার পক্ষ বলছে আমরা কাজ করছি কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে ।আবার জনগণ বলছে সরকার যা বলছে , ঠিক বলছে না। এটাই তো আধুনিক যুগে গণতন্ত্র। মানুষ বেশিক্ষণ চুপথাকে না ,থাকবেও না। জনগণকে নিয়ে যারা ভাবেন বা ভাবছেন ,তারা জনপ্রতিনিধি হবেন। তবে সাংবাদিক ,শিক্ষক, লেখক, বুদ্ধিজীবীগণ যেটা বলে সেটা দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিদের শুনতে হয়। এর মধ্য দিয়ে উদার গনতান্ত্রিক সমাজ বিকশিত হয় ।সুশিক্ষা ,সুশাসন প্রতিষ্ঠা়ই হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ।সেটা মাথায় রেখে আমাদের অগ্রসর হতে হবে ।আমাদের প্রত্যেককে পাঁচ থেকে দশ জনের একটি পৌর সুরক্ষা কমিটি করলে, নয়টি ওয়ার্ডে নয়টি সুরক্ষা কমিটি করে, করণীয় ঠিক করে একটি দিকনির্দেশনামূলক প্রস্তাব দিয়ে মাঝে মাঝে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বসলে, জনপ্রতিনিধিরা অনেক তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ হবেন এবং সচেতন জনগণ জনকল্যাণমূলক কাজে পারদর্শী হবেন। ঐক্যবদ্ধভাবে আধুনিক সমৃদ্ধশালী একটি পৌরসভা নিশ্চয় ই গড়ে তুলবেন,সেই প্রত্যাশা শেষ করছি। অধ্যাপক ইদ্রিস আলী,সাধারণ সম্পাদক ,বাংলাদেশ জাসদ,সাতক্ষীরাজেলা শাখা।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা