শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) আবাহমান বাংলার শীতের এক অনন্য ঐতিহ্য খেজুরের রস। যশোরের খ্যাতি খেজুর গাছ এবং খেজুরের রস দিয়ে। কথায় বলে ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’। জেলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কেশবপুর-মণিরামপুরের সীমান্তবর্তী নাগরঘোপ এলাকায় উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা রোপণ শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে ৩২ শতক জমিতে ১২০টি খেজুরের চারা রোপণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
আবাহমান বাংলার শীতের এক অনন্য ঐতিহ্য খেজুরের রস। মরুদেশ আরবের খ্যাতি যেমন খেজুর দিয়ে, তেমনি যশোরের খ্যাতি খেজুর গাছ এবং খেজুরের রস দিয়ে। কথায় বলে ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’। এমনকি যশোর জেলাকে প্রতীকী অর্থে কোথাও উপস্থাপন করার সময় সেখানে খেজুর গাছের ছবি যশোরের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। জেলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ৮ হাজার খেজুর গাছের চারা রোপণ করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম দিনেই নাগরঘোপ এলাকায় ৩২ শতক জমিতে ১২০টি উন্নত জাতের খেজুরের চারা রোপণের উদ্বোধন করা হয়।
উন্নত জাতের খেজুরের চারা রোপণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ জিয়াউর রহমান, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান, খেজুর গাছ গবেষক প্রকৌশলী নাকিব মাহমুদ, কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনির হোসেন, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, ইউপি সদস্য রেহেনা ফিরোজ, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, যশোর জেলার খ্যাতি খেজুর গাছ এবং খেজুরের রস দিয়ে। কথায় বলে ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’। জেলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রাথমিকভাবে ৩২ শতক জমিতে খেজুর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। সল্প সময়ের মধ্যে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি সড়কের দু’পাশ দিয়ে উন্নত জাতের আরও ৬ হাজার খেঁজুর গাছের চারা রোপণ করা হবে।