গাইবান্ধা প্রতিনিধি:উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী এবং আশেপাশের এলাকায় বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও এখন বিপদসীমার ৫ সে.মি. এবং করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উড়িয়া, গজারিয়া, ফুলছড়ি, এরেন্ডাবাড়ী ও ফজলুপুর ইউনিয়নে আমন বীজতলা, রোপা আমন, পাট, মরিচ, বেগুন, পটলসহ নি¤œাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের গুনভরি হতে রতনপুর এবং মশামারী হতে ভুষিরভিটা যাওয়ার রাস্তাসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফুলছড়ির রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এব্যাপারে কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর ¯্রােত বেড়ে যাওয়ায় তার ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছেন।