নারায়ণগঞ্জ। একজন সফল জনপ্রতিনিধির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি ওমর ফারক। ওয়ার্ডবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করতে গিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় পর্যন্ত দাঁড়াতে হয়েছে এই জনপ্রতিনিধির। সম্মখিন হতে হয়েছে বিভিন্ন হুমকি ধমকি। মোকাবিলা করতে হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে করা মিথ্যা অভিযোগের। তারপরও এলাকার উন্নয়ন করা থেকে বিন্দু পরিমান পিছু হটেননি তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী এলাকার প্রতিষ্ঠিত চুনা শিল্পপতি হাজি ইউনুস মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক। তিনি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হাজি ফারুক ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বিশ্বাসী। ১৫ আগস্ট নিজের জন্ম দিন হলেও বঙ্গবন্ধু প্রেমি ফারুক তার জন্মদিন পালন করেন না। তার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল জনসেবা করার। সেই লক্ষ্য নিয়ে ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন করেন। ওয়ার্ডবাসী তাকে হতাশ করেননি। বিপুল ভোটের ব্যবধানে ফারুক কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তবে নির্বাচনী ওয়াদা ভুলে যায়নি। যে প্রত্যাশা নিয়ে ওয়ার্ডবাসী তাকে বিজয়ী করেছে সেই প্রত্যাশা পুরনে কোন কৃপণতা করছেনা ফারুক। ওয়ার্ডবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন কাজ করেছেন। তার অকান্ত প্রচেষ্টায় বহু অবহেলিত এলাকা আজ আধুনিক রূপে রূপান্তরিত হয়েছে।
উন্নয়নের পাশাপাশি এই জনপ্রতিনিধির উল্লেখযোগ্য যে সফলতায় সন্তোষ ওয়ার্ডবাসী তা হলো, কোভিট-১৯ মহামারীতে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। সরকারি ত্রানের পাশাপাশি নিজ তহবিল থেকে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ত্রান ও করোনার উপকরন বিতরণ করেন। এছাড়াও রিলিফ কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃদুগ্ধ ভাতা,প্রতিবন্ধি ভাতা যেন কোন অনিময়ন না হয় তা সর্বতায় তদারকি করেন। জনগণের অর্পিত দায়িত্ব পালনে যে প্রতীভা তিনি দেখিয়েছেন ওয়ার্ডবাসী তা কল্পনাও করেনি। তাই ফারুকের মত জনপ্রতিনিধিকে হারাতে চায়না ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। তাই আসছে সিটি নির্বাচনে ফারুকের প্রতিদ্বন্ধী ফারুকই হবে বলে মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের।
এবিষয়ে একান্ত আলাপকালে কাউন্সিলর ফারুক বলেন, জনসেবা করার জন্যই জনগণ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। জনসেবা করার একজন জনপ্রতিনিধির নৈতিক দায়িত্ব। আমি আমার দায়ীত্ব পালনে কোন রকম কৃপণতা করিনা। ওয়ার্ডবাসী সেবা ও রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করতে গিয়ে নানান বাধা, হুমকি ধমকি, এমনকি আদালতের কাঠগড়াতেও দাঁড়াতে হয়েছে। তবু ওয়ার্ডবাসীর সমর্থন, ভালবাসা ও দোয়ায় আল্লাহর রহমতে কোন বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত যে পরিমাণ উন্নয়ন কাজ করেছি তার স্বাক্ষী ওয়ার্ডবাসী। একথা বলছিনা যে ওয়ার্ডে আর উন্নয়ন কাজের বাকি নেই। তবে ওয়ার্ডবাসী যদি যোগ্যমনে করে আরেকবার নির্বাচিত করেন তাহলে নিশ্চিত করে বলতে পারি ১ নং ওয়ার্ডের কোথাও কোন রাস্তার উন্নয়ন কাজ বাকি থাকবেনা।
পরিশেষে তিনি ওয়ার্ডবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের সুস্থতা কামনা করেন। পাশাপাশি যতদিন বেঁচে থাকেন ততদিন যেন জনসেবা করতে পারেন সকলের কাছে সেই দোয়া প্রার্থনা করেন।