শেখ মামুন হাসান গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মহামারি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রায় ১৮ মাস ধরে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক পড়াশুনা বন্ধ থাকলেও সীমিত পরিসরে চলছে অনলাইন ক্লাস। অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থীদের তেমন আকর্ষণ করতে পারছে না। করোনার দীর্ঘ বন্ধে অধৈর্য হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা। মহামারির এই অবস্থায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। বিশেষত ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই ঝড়ে পড়ে সর্বাধিক। তাদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে অভিভাবকরা।
দরিদ্র প্রবণ এলাকা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছোট খাটো কাজে ঢুকে পড়েছে। বিদ্যালয় কেন্দ্রিক পাঠ কার্যক্রম সচল না থাকায় তাদের ধরে রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা অসচেতন হওয়ায় ছেলেদের বিভিন্ন কায়িক শ্রমের কাজে লাগাচ্ছে। মেয়েদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে তাঁরা।
উপজেলার পৌর শহরের গোলাপবাগ মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার কাজী গোলাম রব্বানী বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল ৩৮ জন। কিন্তু দাখিল পরীক্ষার ফরম পুরণ করেছে ২৩ জন। বাঁকি ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, শুধু দাখিল পরীক্ষার্থী নয় অন্যান্য শ্রেণির ঝড়ে পড়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনুরুপ।
উপজেলার হরিরামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে এবার দশজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে ফরম পূরণ করেনি। তাদের প্রায় সবার বিয়ে হয়ে গেছে। অন্যান্য শ্রেণির গুলোতে একই চিত্র। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অসচেতন অভিভাবকরা এমন কাজ করছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, বাল্য বিবাহের তথ্য পাওয়া মাত্র সেই জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।