September 19, 2024, 8:48 am

গোবিন্দগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে বাঁধা ও নকশা পরিবর্তনের পক্ষ-বিপক্ষে অভিযোগ

শেখ মামুন হাসান:গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাটাখালী নদীর তীরে বড়দহ-ত্রি-মোহনী ব্রীজ পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে বাঁধা প্রদান, চাঁদা দাবীর পাশাপাশি নকশা পরিবর্তনসহ বিভিন্ন অনিয়মে পক্ষ-বিপক্ষে অভিযোগ উঠেছে।

জানাগেছে, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামকে বন্যার কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র অর্থায়নে ও এলজিইডি’র বাস্তবায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান স্থানীয় ‘বড়দহ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’। প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ৫ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার কাটাখালী নদীর বড়দহ সেতু থেকে ত্রি-মোহনী ব্রীজ পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয় গত ৮ জানুয়ারি।
উদ্বোধনের পর থেকে ‘বড়দহ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’র কর্মকর্তাগণ ও এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁধ নির্মাণ চলতে থাকে। মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে হরিরামপুর ইউনিয়নের তালুক সোনাইডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছিলে বিপত্তি বাঁধে।

এ বিষয়ে ওই গ্রামের মৃত অছিমদ্দিনের ছেলে ময়েন উদ্দিনসহ কিছু লোক নকশা পরিবর্তন করে নিরীহ মানুষের আবাদি জমির উপর দিয়ে এবংনানা অনিয়মের মাধ্যমে নিম্নমানের বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ তোলেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৭ আগস্ট গোবিন্দগঞ্জে সাংবাদিক মহলকে নিয়ে স্থানীয় রিপোটার্স ফোরামে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে গাইবান্ধা ৪ আসনের এমপি ও তাঁর ছোট ভাই প্রভাব খাটিয়ে চাঁদবাজির মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে বসত-ভিটা ও ফসলি জমি দখল করে সরকারি বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতিবাদ জানানো হয়।

এদিকে পরদিন স্থানীয় সাংবাদিকরা উক্ত বাঁধ পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা ময়েন উদ্দিন সহ কয়েকজন ব্যক্তি ম্যাপ অনুযায়ী বাঁধ নির্মানে বাঁধা প্রধান করেন এবং ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বলে বড়দহ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’র সভাপতি সজিব আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক নওশা মিয়া জানান। এসময় এলাকার কিছু নারী-পুরুষ বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে বাঁধ নির্মাণে বাঁধা প্রদান ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।
এলাকার সচেতন মহল মনে করে এ বাঁধটি সঠিকভাবে নির্মিত হলে হরিরামপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল ও বসতবাড়ি বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। যদি এ বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয় তবে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। তাই সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সরেজমিনে বাঁধ নির্মাণ কাজ তদারকির আহবান জানান। এতে করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর হবে। অনাকাঙ্খিত ঘটনার হাত থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পাবে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা