September 8, 2024, 1:21 pm

ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎকারী ৪ প্রতারক ও অবৈধপথে ভারতে গমনাগমনের ৩ সহযোগী গ্রেফতার

শামীম আখতার বিভাগীয় প্রধান (খুলনা):ব্যাংক এশিয়ার গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য ও অবৈধ পথে ভারত গমনাগমনের সহযোগী ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে যশোর জেলার ডিবি পুলিশ। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল, গ্রাহকের আমানত জমা ২৭টি বই ও আত্মসাৎকৃত নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যশোরের বাঘারপাড়া থানার চতুরবাড়ীয়া বাজারে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট শাখার এজেন্ট আনোয়ার জাহিদ ও তার সহযোগীরা মিলে ২০২০-২০২১ সালে ৩৪ জন গ্রাহকের আমানতের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রতারণা পূর্বক আনুমানিক ৪১ লক্ষ ৬শত টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করে। এ ঘটনায় ব্যাংক এশিয়ার সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় ব্যাংক এশিয়ার পক্ষে রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহম্মেদ বাদী হয়ে আনোয়ার জাহিদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৬ জুলাই বাঘারপাড়া থানার মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার) পিপিএম তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যাস্ত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মামলাটি গুরুত্বের সহিত তদন্ত করার জন্যে মামলার তদন্তভার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম এর উপর অর্পন করেন।
পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় যশোর “খ” সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ডিবি’র ওসি সোমেন দাশের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রুপন কুমার সরকার পিপিএম, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম পিপিএম, আরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেনের সমন্বয়ে ডিবি’র একটি চৌকশ টিম ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাত থেকে ৭ জুলাই (বুধবার) সকাল পর্যন্ত যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার খাজুরা, হালদা, বেনাপোল পোর্ট থানা, চৌগাছা, কোট চাঁদপুর ও ঝিনাইদহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যসহ মূল হোতা প্রধান আসামী আনোয়ার জাহিদকে অবৈধপথে সীমান্তবর্তী দেশ ভারতে গমনাগমনের সহযোগীতা করার অপরাধে ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, বাঘারপাড়া থানার হালদা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মোল্ল্যার ছেলে মূল হোতা আনোয়ার জাহিদ (৪৫), মাগুরা জেলার শালিখা থানার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের আবু বক্কার গাজীর ছেলে মুশফিকুর রহমান হরফে রতন (৩০) বর্তমানে খাজুরা বাজার শ^শুর মাওলানা সোলাইমানের বাসায় থাকেন, বাঘারপাড়া থানার হালদা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মোল্ল্যার ২ ছেলে মাজেদ মোল্ল্যা (৫০) ও আব্দুল আজিজ মোল্ল্যা (৪৮), তদন্তে প্রাপ্ত আসামী কোতোয়ালী থানার বানিয়াবহু গ্রামের মৃত আবুল হোসেনর ছেলে শাহিন হোসেন (৩৫), বেনাপোল পোর্ট থানার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আয়না বারীর ছেলে রজ্জত আলী (৪৫) ও শিকড়ী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ইমানুর হোসেন (৫২)।
ওই সময় তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও উদ্ধারকৃত আমানত বই দৃষ্টে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অপরাধ সত্যতা পাওয়া যায়। ১নং আসামী আনোয়ার জাহিদ ও ২নং আসামী মুশফিকুর রহমান হরফে রতন চতুর ও প্রতারক। তাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক জাল জালিয়াতি ও চেক ডিজ-ওনার মামলা রয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য ১নং আসামী আনোয়ার জাহিদ ও ২নং আসামী মুশফিকুর রহমান হরফে রতনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা