April 24, 2024, 3:26 am

অবকাঠামোগত ভাবে পিছিয়ে তালা বাজার মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

কাজী ইমদাদুল বারী জীবন তালা উপজেলা প্রতিনিধি,,,উপজেলা সদরে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত তালা বাজার মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এলাকাজুড়ে সুনাম সাথে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। উপজেলা ও জেলা জুড়ে বারবার শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হলেও বর্তমান প্রতিষ্ঠানটি নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে,প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মীর আব্দুল মালেক (ছুটুমীর) নামক একজন শিক্ষানুরাগী ১৯৫২ সালে নিজ জমির উপড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করেন। এরপর থেকে সুনামের সাথে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রছাত্রী প্রাথমিক বৃত্তি লাভ করে এই বিদ্যালয় থেকে।লেখাপড়ার পাশাপাশি এ বিদ্যালয়টি সংগীতেও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে জাতীয় পুরস্কার। প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এ বিদ্যালয়টি। উপজেলা রিসোর্স সেন্টার সংলগ্ন এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রাখলেও অবকাঠামোগত তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি বহু বছর যাবৎ। প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাত্র ৫টি ক্লাস রুম।প্রতিটি ক্লাসরুমে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শিক্ষকদের পাঠদান করাতে হয় নানা বিধি সমস্যা।আছে আনুপাতিক হারে শিক্ষকদের স্বল্পতাও। নেই অভিভাবক সমাবেশ করার মতো কোনো হলরুম। স্কুল মাঠটি অপেক্ষাকৃত নীচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে মাঠে পানি জমে থাকে। ছাত্রছাত্রীদের চলাফেরায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নেই উপযুক্ত খেলার মাঠ,ক্রীড়া সামগ্রী। চিত্তবিনোদনের জন্য নেই পর্যাপ্ত উপকরণ। ফলে লেখাপড়া করাতে যেমন হচ্ছে নানা বিধি সমস্যা তেমনি খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিতে পিছিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।সর্বশেষ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারীভাবে অবকাঠামোগত ভাবে ক্লাস রুম বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০০৬ সালে সেটিও আবার ২ কক্ষ বিশিষ্ট রুম।

বিদ্যালয়ের সভাপতি সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন বলেন, এই বিদ্যালয়টি আমাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে ও আমার পিতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জেল-জুলুম ও সহ্য করেন তিনি। ঐতিহ্যবাহি এই বিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপাড়া করলেও বর্তমান অবস্থায় শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বিদ্যালয় পাঠদানে মারাতœক ব্যাঘাত ঘটেছে। এতে করে শিক্ষার মান উন্নয়ন দিন দিন ভেঙ্গে পড়েছে। আর শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে অসন্তেুাষ দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য একটি ভবন খুবই প্রয়োজন। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপাড়ার সুষ্ঠ পরিবেশ ফেরাতে একটি ভবন নির্মান ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সাংসদ সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মিজানুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণিকক্ষ পর্যাপ্ত না থাকায় শিক্ষার সুব্যবস্থা থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারী ভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ শিবরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। এই বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে ভিয়েনামে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করনে।

বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষ সহ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সংকটের বিষয়ে একাধিক বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর জানানো হয়েছে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী অতিশীঘ্রই বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন নিমার্ণ করা দরকার ।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা