April 19, 2024, 11:09 pm

কোন অন্যায় অনৈতিক কাজের সাথে আপোষ নয়-পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান

কোন অন্যায় অনৈতিক কাজের সাথে আপোষ নয় ।দুষ্ট লোকের চেয়ে শূণ্য গোয়ালই ভাল,কোন দুষ্ট পুলিশ সদস্য হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়ন -এ থাকতে পারবেনা বলে ধ্যার্থকণ্ঠে বলেছেন হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়ন পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান। বুধবার(১৬জুন) বিকেল ৩ টায় হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিয়ন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সভার সভাপতিত্বে এসব কথা বলেছেন পুলিশ সুপার আলী আহমদে খান। পুলিশ সুপার বলেন,হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিয়ন অঞ্চলের কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে এবং তদন্তে এর সত্যতা পেলে তাকে বরখাস্ত করা হবে,কোন ভাবেই অন্যায়কারীকে রেহাই দেওয়া হবেনা।পুলিশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে মানুষকে সেবা প্রদান করার জন্য পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের আওতাধীন সকল থানার উপস্থিত অফিসার ইনচার্জ ও টিআইদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ যাতে আঙ্গুল তুলে কোন অভিযোগ করতে না পারে সে লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে সকল পুলিশ সদস্যকে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার। অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় ও উপস্থাপনায় পুলিশ সুপার আলী আহমদে খান আরও বলেন, মহাসড়কে সার্জেন্টদের নির্দেশ দেওয়া আছে গাড়ীর চালক ও হেলপারদের সাথে ভাল ব্যবহার করার এবং তাদেরকে সালাম দেওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে, অন্যায়ভাবে কিংবা জুলুম করে কোন গাড়ীর নামে রেকারিং কিংবা মামলা যাতে দেওয়া না হয়। গাজীপুর হাইওয়ের আওতাধীন বিভিন্ন মহাসড়কের যানজট সম্পর্কে বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের কাজ করার কারণে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, তবে অচিরেই এ থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশ সুপার। পরিবহন মালিক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ইতিপূর্বে গাড়ীর মামলা ভাঙ্গাতে গাড়ির মালিক ও চালকদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো, (পজ)মেশিনে মামলা দেওয়া হচ্ছে,এখন যেখানেই মামলা সে থানা থেকেই ইউক্যাশে টাকা জমা করে ওই থানা থেকেই সহজেই কাগজ নিতে পারছেন। কোন রকম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেনা কাউকে। এখন পুলিশ থেকে অনেক ভাল সেবা পাচ্ছে মানুষ। কোন প্রকার হয়রানির কোন সুযোগ নেই এখন। পুলিশ অনেক সতর্ক রয়েছে। মহাসড়ক নির্বিঘ্ন রাখতে গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা ও সকল সদস্যরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার, আব্দুল কাদের জিলানী, সহকারী পুলিশ সুপার,শফিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর,কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান, গোড়াই থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন,সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ, হাসারা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ, ভবেরচর হাইওয়ের ইনচার্জ, মাওনার ইনচার্জ, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির শিমরাইল শাখার যুগ্ন সম্পাদক মোঃ মামুন হাওলাদারসহ বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সভায় বত্তব্য তুলে ধরেন। পরিবহন মালিক নেতৃবৃন্দের দাবি মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ছোট খাটো দুর্ঘটনায় তাদের গামেন্টের রপ্তানীমুখী পন্য যেন আটকিয়ে তাদের ক্ষতির সম্মুখীন না করে, প্রয়োজনে রপ্তানীমুখী পণ্য যেন অন্য গাড়ীতে যথা সময়ে পরিবর্তন করার কাজে সহযোগিতা করে এবং পন্যবাহী মালামাল ডেলিভারী দিতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে দাবি জানানো হয়। মামুন হাওলাদার পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশে যে সকল ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এলামেলোভাবে ডিউটি করছেন তাদের যদি এক একজনকে এক একটি পয়েন্টে ফিক্সড করে না দেওয়া হয় তবে কাজে গতি আসবেনা ,হযরবল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এই অবস্থায় মানুষ তাদের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।এছাড়া মহাসড়কের শিমরাইল বন্ধ বাস কাউন্টারের পূর্ব দিকে থেকে শুরু করে সানারপাড়, সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, কনটেইনার কার্গো, বাস, মিনিবাস, লেগুনা দিন রাত সব সময় পার্কিং করে রাখার কারণে যানজট যেমন বাড়িয়ে দিচ্ছে তেমনি এসব যানবাহন এর কারণে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর একটা বিহিত করার দাবি জানানো হয়।এদিকে শিমরাইল থেকে সানারপাড়, সাইনবোর্ড এলাকায় অহরহ থ্রী হুইলার,সিএনজি, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক রিকশা,নিষিদ্ধ লেগুনা চলাচল করছে। শিমরাইলমোড়ে, বিভিন্ন বাস, মিনিবাস, সিএনজি, ও লেগুনা মহাসড়কের উপর রীতিমতো স্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে,এমনকি মহাসড়ক জুড়ে কাঁচবাজারও রয়েছে। শিমরাইল ইউটার্নে নিষিদ্ধ লেগুনা উল্টো ঘোরার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি শিমরাইল থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের উলে­খিত সমস্যা সমাধান করলে যানজট ব্যাপকভাবে কমে যাবে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামানের সঠিক দিক নির্দেশনায় ইতিমধ্যে কাঁচপুর হাইওয়ের বিশাল অংশ যানজট মুক্ত হয়েছে,শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। মানুষ কাঁচপুর হাইওয়ে থানা থেকে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা