April 19, 2024, 9:43 pm

এক সপ্তাহে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন তিস্তার পেটে সুন্দরগঞ্জের কাশিমবাজার

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃঅবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে গত এক সপ্তাহে তিস্তার পেটে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজার গ্রাম এবং চন্ডিপুর, তারাপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের তিন শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ও বালির বস্তা ফেললেও তা কোন কাজে আসছে না। এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি। ভাঙনের আশংকায় নদী পাড়ে বসবাসরত এসব পরিবার এখন দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারা পদক্ষেপ থামাতে পারছে না তিস্তার ভাঙন। ফলে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে ফসলী জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
এদিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, লাঠশালা ও হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার খেয়াঘাটসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত সাত দিনের ব্যবধানে কাশিমবাজার গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভেবিলীন হয়ে গেছে। তারা বলেন, যে হারে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে, তাতে করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী নাজিমাবাদ বিএল উচ্চ বিদ্যালয় রক্ষা করা যাবে না। এব্যাপারে বিদ্যালয়টি রক্ষা করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ভাঙন রোধে জোরালো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সাতদিনের ব্যবধানে, কাশিমবাজার, লখিয়ারপাড়া, মাদারিপাড়া, চরচরিতাবাড়ি, চরিতাবাড়ি গ্রামে ৩ শতাধিক বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত পরিবাগুলোর আশ্রয় নেয়ারমত জায়গা নেই ।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, হরিপুর ইউনিয়নের কাশিমবাজারে ভাঙন অব্যাহত থাকায় ভাঙনরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কোন কোন ইউনিয়নে জরুরী কার্যক্রমও চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা