March 28, 2024, 11:18 pm

মহেশপুরে সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দ বিতরণে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিএফ সহ অতিদরিদ্রদের জন্য দেওয়া সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দ বিতরণে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় সীমান্তঘেষা এ উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল মোমিন ও তার তিন সহযোগী আক্তার হোসেন, রেজাউল ইসলাম বুদো এবং সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এরমধ্যে আক্তার হোসেন নিজেকে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে দাবি করেন। স্বরুপপুর ইউনিয়নের চাপাতলা ও হানিফপুর গ্রাম নিয়ে ৬নং ওয়ার্ড। তাদের অভিযোগ সরকারের দেওয়া বিভিন্ন বরাদ্দের কার্ড করে দেওয়ার নাম করে ৫০০ থেকে দশ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। কার্ড করে দিতে না পারায় চাপের মুখে অনেকের টাকা ফেরতও দিয়েছেন তারা। তবে অভিযুক্তরা এসব অস্বিকার করেছেন। চাপাতলা গ্রামের জহির হোসেন জানান, প্রায় ৫ মাস আগে ১০ টাকা মূল্যের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সাইফুল ইসলাম ৭০০ টাকা নেয় কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন কার্ড করে দিতে পারেনি। একই গ্রামের বসির হোসেন নামের এক যুবক জানান, আমার স্ত্রী আখি তারা প্রথম সন্তানের মা হয়েছে। ৬ থেকে ৭ মাস আগে আমার স্ত্রীর মাতৃকালীন ভাতা করে দেবেন বলে আক্তার হোসেন আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নেন। কিন্তু কার্ড করে দিতে পারেননি। পরে স্থানীয়দের কাছে বলে অনেক চাপাচাপি করার পর টাকা ফেরত দিয়েছে। এখন আমাকে মারার জন্য হুমকি দিচ্ছে। চাপাতলা গ্রামের আখের আলীর কাছ থেকে টিন দেওয়ার নাম করে ৫০০ টাকা নিয়েছিল কিন্তু আজও টিন পায়নি এই বৃদ্ধ। একই গ্রামের বৃদ্ধা রাহিমা বেগম ও হাসু বুড়ির কাছ থেকে টিন দেওয়ার নাম করে ৪০০ টাকা নেয় কিন্তু ৬ মাস পার হয়ে গেলেও এখনো টিন পায়নি তারা। অভিযুক্ত আক্তার হোসেন জানান, আমি দির্ঘদিন ঢাকায় ছিলাম। এখন বাড়িতে এসে সীমান্তের গুড়দাহ বাজারে ব্যবসা করি। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে কথা শেষ হওয়ার আগে নিউজটি প্রকাশ না করার জন্য এ প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আক্তার। হানিফপুর গ্রামের মশিউর রহমান জানান, চার থেকে পাঁচ মাস আগে আমার একটি ঘর করে দেওয়ার জন্য মেম্বার আবদুল মোমিন ২০ হাজার টাকা নেয় কিন্তু ঘর করে দিতে না পারায় এক সপ্তাহ আগে সে তার টাকা ফেরত দিয়েছে। একই গ্রামের আসমা নামে এক গৃহবধূও কাছ থেকে ঘর করে দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ঘর করে দিতে পারেনি। এখন টাকা চাইলে টাকাও দিচ্ছে না। ইউপি মেম্বার আবদুল মোমিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে জানান, আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ কুৎসা রটাচ্ছে। মেম্বার মোমিন আরো জানান, হানিফপুর ও চাপাতলা নিয়ে ৬নং ওয়ার্ড। আমার বাড়ি হানিফপুর। আক্তার ও সাইফুলের বাড়িচাপাতলা। যে কারণে ওই গ্রামের সরকারের বিভিন্ন ভাতাভোগিদের কার্ড তাদের কাছে দিলে তারা বিতরণ করেন। এখন কার্ড বিতরণের সময় তারা কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকলে সেটা তাদের ব্যপার। স্বরুপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, সরকারের দেওয়া অতিদরিদ্রদের দেওয়া ভাতা বা চাউলের কার্ড বিতরণের জন কেউ টাকা নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা