কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা মনোহরগজ্ঞ উপজেলায় রাতে এক প্রবাসী স্ত্রী ঘরে ঢুকে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতার ছেলে মহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটছে গত ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের প্রবাসী জুয়েল মিয়ার বসতঘরে। এ ঘটনায় নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয় এমনকি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে তুলে ধরেন কেউ কেউ।
এ নিয়ে গৃহবধূর শশুর আবুল হাশেম বাদী হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ও দূর্গাপুর গ্রামের নুরুল আমিন ছেলে মহিনের বিরুদ্ধে গত ১ মে মনোহরগুন্জ থানা অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রেক্ষিতে তদন্তে আসেন থানার পুলিশের সদস্যরা। অভিযুক্ত মহিন ও তার বাবা নুরুল আমিন গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ তুলে নিতে বাদীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছেন।ভুক্তভোগী প্রবাসী পরিবার এ নিয়ে নিরাপত্তা হীনতা ভুগছেন তারা।
এ বিষয় জানতে চাইলে মহিনের বাবা নুরুল আমিন বলেন, আমার ছেলে বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করবেনা সে কোন ঘটনা করেনাই, যে ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে আমি তাদের সঙ্গে লড়বো। আমি দল করি পারলে লেখা লেখি করে নিউজ করেন।
গৃহবধূ মিশু আক্তার বলেন, বাথরুমে যাওয়ার জন্য রাতে ঘর থেকে বাহিরে যাই,এ সময় মহিন আমার ঘরে আসে, আমার শশুর দেখতে পায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের প্রবাসী জুয়েলের স্ত্রী মিশু আক্তারে সাথে একই বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে মহিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন তারা। প্রেমের জেরে অনৈতিক কার্যকলাপের লিপ্ত হয়েছেন অনেক বার। গত ২৮ এপ্রিল রাত ১টার দিকে মহিন মিয়া ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় শশুরবাড়ির লোকজন মহিন এবং ওই গৃহবধূকে ঘরের ভেতর আটকে রেখে স্থানীয়দের ডেকে আনে এসময় স্থানীয়রা আসতে দেখে অভিযুক্ত মহিন পালিয়ে যায়।পরেরদিন এ ঘটনা নিয়ে গৃহবধূর শশুর ও এলাকার লোকজন মিলে অভিযুক্ত মহিনের বাবা নুরুল আমিন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি দলের পরিচয় দিয়ে বাদীর পরিবারকে হুমকি প্রদান করে।
এদিকে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ- ওই গৃহবধূর সঙ্গে মহিনের দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে তিনবার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাদের। এ সব ঘটনা নিয়ে গ্রাম্য সালিশ ও হয়েছে অনেক বার। কিন্তু সালিশে অভিযুক্ত মহিনের বিরুদ্ধে স্হানীয় মাতাব্বররা সঠিক বিচার করতে পারেনি। দলের ক্ষমা দেখিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মহিনের পরিবার। তাই সমাজের লোকজন তাদের সালিশ ধরবার করতে আসেনা কেউ। তাই গৃহবধূর শশুর বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার সকালে মনোহরগুন্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুল কবির বলেন, ‘এ ঘটনায় গৃহবধূর শশুর বাবা বাদি হয়ে মহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।