April 18, 2024, 11:57 am

সিদ্ধিরগঞ্জে টাইগার ফারুক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জ থাকার মিজমিজি এলা মো: ফারুক ওরফে টাইগার ফারুক পিতা-আবু সাইদ। বর্তমান ঠিকানা-মিজমিজি পুর্বপাড়া পাগলাবাড়ি এলাকা
ফারুকের বাবা আবু সাঈদ আদমজী জুট মিলস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহসভাপতি ছিল। চাচা আমির হোসেন ওরফে শুটার আমির ওরফে বন্দুক আমির জাতীয়তাবী শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক ছিল। বর্তমানে তার ছোট ভাই জুয়েল রানা নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি। তার বিরুদ্ধে হেফাজতের দুটি মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আরেক ভাই জসিম বিএনপিকর্মী। ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের ধানের শীষের নির্বাচন করেছে টাইগার ফারুক ও তার বাপ চাচারা। আদমজী জুট মিলস চলাকালীন তৎকালীন নিউ কলোনী ১নং নতুন গেইটে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী শামীম ওসমানের নৌকার প্রতীক ভেঙ্গে ফেলে টাইগার ফারুক। এবং ওই নির্বাচনে শামীম ওসমান পরাজিত হওয়ার পর আগুন দিয়ে নৌকার ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেয় ফারুক।
বিএনপি সরকারের পতনের পর পিঠ বাঁচাতে কৌশলে আওয়ামীলীগের শিবিরে মিশে যায় টাইগার ফারুক। এবং নিজেকে কখনো যুবলীগ নেতা আবার কখনো যুবলীগ কর্মী পরিচয় দেয়। এই সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ফারুক মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। আদমজী ইপিজেডে ব্যবসার করার অজুহাতে ভেতরে ভেতরে চলে তার মাদক ব্যবসা। যার কারণে রাতরাতি সে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের জমি কিনে সেখানে বহুতল বিল্ডিং বানিয়েছে।
টাইগার ফারুক সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি টিসি রোডস্থ বৈশাখী কুঞ্জের বিপরীত দিকে বিএনপির হযরত আলীর দোতলা বিল্ংিয়ের নিচ তলায় যুবলীগের কথিত কার্যালয় বানায়। মজার বিষয় কার্যালয়ের দরজায় লেখা আকাশ এন্টারপ্রাইজ ও এ কে এন্টারপ্রাইজ। ভেতর রাতভর চলে মাদক কেনা-বেচা ও সেবন।
বর্তমানে ফারুক হত্যা মামলার আসামী। এক পযায়ে চলতি বছরের গত ১০ মার্চ কমিল্লা ডিবির হাতে ফেনসিডলসহ গ্রেপ্তার হয় এক সমস্য আলমগীর। ২ এপ্রিল রাতে ঢাকার পল্টনে র‌্যাব-৩ এর হাতে গ্রেপ্তার হয় টাইগার ফারুকের ক্যাশিয়ার মিলন ৩ সহযোগিসহ গ্রেপ্তার হয়। তাদের কাছ থেকে ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ১৬ এপ্রিল বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড থেকে টাইগার ফারুকের অন্যতম সহযোগি রাকিবসহ ৫ জনকে ১৮ কেজি গাঁজা ও ৯৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩। ফারুকের এই সহযোগিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফারুকের নাম আলোচনায় চলে আসে মাদক সম্রাট হিসেবে।
বড় ভাই মো: জসিম ছিনতাইয়ের সময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি হয়। পরে জামিনে বেরিয়ে আসে। এছাড়াও ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি ও ছিনতাইকারী।
টাইগার ফারুকের আপন ছোট ভাই, জুয়েল রানা, নারায়ণগঞ্জ মহা নগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ২৫ মার্চে হেফাজতের হরতালের দিন নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার মধ্যে একটি মামলায় প্রধান আসামী ও একটি মামলায় ১৯ নাম্বার আসামী। সেও মাদক বিক্রেতা।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা