April 25, 2024, 3:16 pm

বন্দরে আ’লীগ নেতার নেতৃত্বে মহিলাকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে লক্ষ্যারচর এলাকায় ওয়াহিদা সুলতানা নামের এক মহিলাকে কুপিয়ে জখন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন গংদের বিরুদ্ধে।

আহত ওয়াহিদা সুলতানা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৯নং ওয়ার্ডের লক্ষ্যারচর এলাকার মৃত সাহাবউদ্দিন কালাচাঁন মিয়ার স্ত্রী।

শুক্রবার ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে লক্ষ্যারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৯নং ওয়ার্ডের লক্ষ্যারচর এলাকার আনোয়ার, লুতফর, জাকির, নিঝুম,আশিক,ফাহিম, কাব্ব, নিশাদ, উসমান, আকাশ, প্রবন।

আহত ওয়াহিদা সুলতানা বন্দর মডেল প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীদের জানান, আমাদের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আমজাদ হোসেন দখল করার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে জীবন-যাপন করে আসছি। কিন্তু গত শুক্রবার সকালে আমাদের ঘরের মেসেজে টাইলস এর কাজ করার সময় আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আমজাদ হোসেন এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে বাকবিতন্ডা হলে একপর্যায়ে হাজী আমজাদ আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং নিঝুম বটি দিয়ে কুপিয়ে জখন করে গুরুতর আহত করে। এবং ঘরের ভিতরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। সেই সাথে টিনদিয়ে বাড়ির রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়।

আহত ওয়াহিদা সুলতানা বন্দর মডেল প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীদের আরও জানান, হাজী আমজাদ হোসেন যখন বাসার ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালায় তখন আমার ছেলে সাব্বির দৌড়ে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে হামলার ঘটনা জানালেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তখন তাদের হাত থেকে বাঁচতে ৯৯৯ লাইনে ফোন করে জানালে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আমাদের বাসায় লোক আসলে তখন হাজী আমজাদের গায়ে সাদা পাঞ্জাবীতে রক্ত লেগে থাকে পুলিশ দেখতে পায়। কিন্তু সব কিছু জেনেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনালের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য হাজী আমজাদ হোসেনের ব্যবহৃত ০১৭৭৫৪২৭৭৮৬ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

জানতে চেয়ে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর ইনচার্জ সাহারুল আলম জামান, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে বলছি। সে যদি নিয়ে আসে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

জানতে চেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে যদি ঘটনার সত্যতা পাই তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা