গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২২ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার ভোর ০৫.২০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কেওঢালা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র চেকপোষ্টের মাধ্যমে পরিচালিত মাদক বিরোধী অভিযানে কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কার তল্লাশী করে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহনের দায়ে ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ ১। মোঃ আলমগীর (৩৫) এবং ২। মোঃ রাশেদ (২৫)। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ০১টি প্রাইভেট কার, ০২টি মোবাইল ও নগদ ২,৫০০/-টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, আসামী মোঃ আলমগীর এর বাড়ি লক্ষীপুর জেলার সদর থানাধীন রাধাপুর এলাকায় ও মোঃ রাশেদ এর বাড়ি কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজী বাটপাড়া এলাকায়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চালক ও যাত্রীর ছদ্মবেশে যাত্রীবাহী প্রাইভেট কারযোগে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে উক্ত ব্যক্তিদ্বয় কুমিল্লা জেলা হতে বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কেওঢালা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোষ্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজাসহ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট কারযোগে যাত্রী পরিহনের আড়ালে চালক ও যাত্রীর সীটের নিচে বিশেষ কৌশলে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে নিয়ে এসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদক ব্যবসা তাদের একমাত্র পেশা। চালক ও যাত্রী হিসেবে পরিচয় তাদের ছদ্মবেশ গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।