শামীম আখতার, ব্যুরো প্রধান (খুলনা): কেশবপুরের বাউশলা গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে ককটেল বিস্ফোরণে স্কুল ছাত্র আব্দুর রহমান (৮) নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে ২ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। ২ দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ফারুক হোসেন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়। শুক্রবার সকালে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে কেশবপুর থানা পুলিশ। গত বৃহ¯পতিবার দুপুরে উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামে ওই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, উপজেলার বাউশলা গ্রামের ভ্যানচালক মিজানুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান তার চাচা সিরাজুল ইসলাম ও তার ছেলে অহিদ হাসানের সঙ্গে বাড়ির পাশের বিলে মুস্তাফিজুর রহমানের পরিত্যক্ত টোং ঘরের ভেতরে রেখে আসা স্যালোম্যাশিন আনতে যায়। ওই সময় টোং ঘরের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো একটি টিনের কৌটা পেয়ে আব্দুর রহমান হাতে করে নিয়ে বাড়িতে আসে। বাড়ির উঠানে মা ও ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে ওই কৌটা ভেতের কি আছে দেখার সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই স্কুল ছাত্র আব্দুর রহমান মারা যায়। গুরুতর আহত হয় তার মা নিলুফা বেগম ও ছোট বোন মারুফা খাতুন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্যালো মেশিন ঘরে রেখে যাওয়া ককটেলের সূত্র খুজতে গিয়ে পাশ্ববর্তি ওই যুবলীগ নেতার ঘেরের টোং ঘর থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে বোমার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হোসেনকে সন্দেহভাজন ভাবে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রের চাচা সিরাজুল ইসলাম গত ১৫ এপ্রিল কেশবপুর থানায় মামলা করেন। যার নং-৭। স্থানীয়রা জানায়, ফারুক হোসেন নামে ওই যুবলীগ নেতা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রভাব খাটিয়ে আসছে। বিস্ফোরণে শিশু নিহতের পর পুলিশ ওই ঘেরের টংঘর থেকে বেশ কিছু ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, টংঘরে বহিরাগতরা নিয়মিত আড্ডা ও মাদকসেবন করে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন বলেন, বোমা বিস্ফোরনে স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ দিনের রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘটনের লক্ষে থানা পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।