মোঃ রবিউল হোসাইন সবুজঃকুমিল্লা লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে লকডাউনকে ঘিরে ক্রেতার সরব পদচারণা
এ যেন মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা।আর লকডাউনেও মার্কেটে মার্কেটে মানুষের ঢল।পরিস্থিতি নিয়ে সন্দিহানরা নেমেছে ঈদের কেনাকাটায়।স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর নেই অনেকের।
সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার পর থেকে কুমিল্লা লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে প্রায় সবগুলো মার্কেটে ক্রেতার সরব পদচারণা। আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ইঙ্গিত দেওয়ার পর থেকে ক্রেতারা মার্কেটে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ছিল। ভালো বিক্রিতে খুশি ব্যবসায়ীরাও।সরজমিনে দেখা গেছে-লাকসাম উপজেলায় চাঁদমিয়া টাওয়ার,হাজী মোকসেদ আলী টাওয়ার, জুয়েলারি মার্কেট, কাপড় পট্টি, ব্যাংক রোডসহ হকার্স মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
রাস্তাঘাট ছিল লোকে লোকারণ্য।অন্যদিকে লাকসাম বাজারের (মিশুক) রিকশার আনাগোনা বেড়েছে ফলে মার্কেটের সড়ক ও আশেপাশে যানজট দেখাদেয়।
লাকসাম বাজারে আসা এক ক্রেতা জানান-ঈদের কেনাকাটা করতে এলাম, লকডাউনে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় বলা যায় না।তাই আগে থেকে সেরে নিচ্ছি কেনাকাটা।
অন্য আরও এক ক্রেতা বলেন,আমার স্বামী প্রবাসী বাড়িতে বাজার করার মত কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে সবগুলো কেনাকাটা করে ফেললাম যদি পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যায় । পুনরায় আবারও লকডাউনে পড়ার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেনঃ পুরো বছর জুড়ে আমাদের ব্যবসা হয় এই রমজানে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে । যদি লকডাউন হয় যায় তাহলে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হবে। তবে সরকারের কাছে অনুরোধ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খোলা রাখার।