April 18, 2024, 2:31 pm

দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচন জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।’

দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কদের। তিনি বলেন, ‘এ বিজয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিজয়। নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।’

ওবায়দুল কাদের রবিবার (১৭ জানুয়ারি) তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (১৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে, গতকালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিল আশাব্যঞ্জক। সূত্র মতে, ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬০ থেকে ৭০ ভাগ।’ ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএম এবং ৩১টিতে ব্যালটে ভোট হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে ছিল না কোনও জড়তা।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, গতকালের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।’

নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে; যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আমলে নির্বাচনে হানাহানি, সংঘাত আর প্রাণহানি লেগে থাকতো। বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে।’ বিএনপি নেতাদের ‘ভোটকেন্দ্র সরকারি দলের দখলে ছিল’ অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাহলে তাদের চার জন প্রার্থী কীভাবে বিজয়ী হলেন? এমনকি তাদের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থীও জয়লাভ করেছেন। আসলে বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করেন। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝদুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে।’

পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছে, তাদের ভবিষ্যতে দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে বিবেচনায় আনা হবে না বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের জয় হোক কিংবা পরাজয়, পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না।’ এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে তা দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, ‘দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন।’ তাদের ভবিষ্যতে আরও কঠোর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা