April 18, 2024, 11:52 pm

ডাক্তার দেখানোর নাম করে ভারতে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী

বেনাপোল প্রতিনিধি: ভারতের গুজরাটে নিয়ে বাংলাদেশি মেয়ে ছালমা খাতুনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী কামরুলের বিরুদ্ধে। গত ০৭ মে গুজরাটের একটি নদী থেকে ছালমার মরদেহ উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে নিহত ছালমার বাবা শহিদুল ইসলাম যশোর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাংলাদেশের পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতার ও ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে অভিযানে নেমেছে।

হত্যার শিকার ছালমা যশোরের বসুন্দিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী কামরুল বসুন্দিয়া গ্রামের ইউনুচের ছেলে।

নিহত ছালমার বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ছেলে কামরুলের সঙ্গে বছর ২ আগে বিয়ে হয়। তাদের সন্তান না হওয়াতে ডাক্তার দেখানোর নাম করে তার জামাই কামরুর গত ১৫ এপ্রিল ছালমাকে পাসপোর্ট যোগে ভারতে নিয়ে যায়। ৩ দিন আগে জামাই ভারত থেকে ফিরে এসে তাদের জানায় ছালমাকে হারিয়ে ফেলেছেন। এসময় তার আচরনে সন্দেহ হলে পুলিশে অভিযোগ দেওয়া হয়। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পরেছেন তাদের জামাই তার মেয়েকে হত্যা করেছে। মরদেহ বর্তমানে ভারতের গুজরাট প্রদেশের আনন্দ জেলার ভালেজ পুলিশ স্টেশনে আছে।

যশোর কতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে গুজরাটের ভালেজ থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। আর যশোর কোতয়ালি থানায় আপাতত পাচার মামলা হয়েছে। পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ছালমার ফুপু শিরিনা বেগম জানান, ভাইজির মরদেহ যাতে দ্রুত দেশে ফেরত এনে দাফনের কাজ সারতে পারে এ কারণে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন। হত্যার বিচারও চান তিনি।

ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের হেড অব চ্যান্সারি শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত মেয়েটির মরদেহ যাতে তার পরিবার ফেরত পেতে পারে এজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

এদিকে ছালমাকে এমন নৃশংস ভাবে হত্যার কোন কারণ এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে তার স্বামী গ্রেফতার হলে রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা