March 29, 2024, 7:02 am

সোয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় পথসভা ও বিক্ষোভ মিছিল

সোহাগ মৃধা গাইবান্ধা থেকে ঃ সোয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও শ্রমজীবি-নি¤œ আয়ের মানুষদের আর্মিরেটে রেশন সরবরাহের দাবিতে গতকাল বুধবার বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন গাইবাান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন স্থানে পথসভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পথসভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সদস্যসচিব মনজুর আলম মিঠু, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের নেতা চপল সরকার, কৃষ্ণ চন্দ্র পাল, সবুজ মিয়া, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র জেলা সভাপতি অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, পারুল বেগম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের জেলা আহবায়ক শামিম আরা মিনা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। জনপ্রতিনিধিত্বহীন আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার সোয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা এখন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের পাহারাদার। মানুষ দেখছে লুটপাট-দুর্নীতির মাধ্যমে শাসক শ্রেণি ও তাদের ঘনিষ্ঠরা টাকার পাহাড় বানাচ্ছে। অন্যদিকে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ দারির্দ্য-বেকারত্ব-মূল্যবৃদ্ধির চাপে জর্জরিত। নিত্যপণ্যের মূল্য লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে শ্রমজীবী ও নি¤œ আয়ের মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা। বাজার পুরোপুরি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। করোনা পরিস্থিতিতে যথার্থ পরিকল্পনা গ্রহণে ব্যর্থ সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। শ্রমিক-ক্ষেতমজুর-কৃষকসহ নি¤œআয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বেশিরভাগ মানুষের নাগালের বাইরে। ওষুধ, পরীক্ষা ও কমিশন বাণিজ্যের নামে মানুষের বিপুল অংকের টাকা লুটে নেয়া হচ্ছে। ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের মহোৎসব চলছে। করোনাকালে কর্মহীনতা আরও বেড়েছে। লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত ও কর্মক্ষম বেকার যুবক নিদারুণ হতাশায় ভুগছে, এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করছে। অথচ সরকার করোনার মধ্যেই দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল, ৯টি চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছে। তথাকথিত দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শে সরকার শূন্যপদে নিয়োগ দিচ্ছেনা এবং নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রও তৈরি করছেনা। সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ অনেক বিষয় সুরাহা করা যায়নি।
মাদক-জুয়া, অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি, নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণসহ সামাজিক অনাচার মহামারি রূপ ধারণ করেছে। জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে দলীয় বাহিনী এবং পুলিশ দিয়ে হামলা করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালো আইনে মামলা দিয়ে, হত্যা-গুমের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারীদের এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন পাকাপোক্ত করে চলেছে। দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী করেছে ধনিক শ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলো, যারা কখনো একক কখনো জোটবদ্ধভাবে বিগতসময়ে দেশ শাসন করেছে এবং করছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা