April 19, 2024, 6:00 pm

সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় স্কুলে সভাপতির পদ হারিয়েও মাতবাবরি ছাড়তে নারাজ সামসুল আলম

ঃ সিদ্ধিরগঞ্জের সানাড়পাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সামসুল আলম পদ হারিয়েও দিব্বি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইউএনও’র চেয়ারে বসে। শিক্ষার্থীদের বেতন কমানো বিদ্যালয়ে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারসহ সবকিছুই করছেন আগের মত করে। বসে থাকেন সভাপতির(ইউএনও)’র চেয়ারে। এনিয়ে বিদ্যালয়ে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। স্কুলের অভিভাবক না হয়েও সামসুল আলম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন।
জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর সভাপতির পদ থেকে সামসুল আলমকে বাদ দিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরাকে সভাপতি করে এডহক কমিটি ঘোষনা করেন শিক্ষা বোর্ড। বর্তমানের স্কুলটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ইউএনও আরিফা জহুরা। কিন্তু পদ হারা সাবেক সভাপতি সামসুল আলম আগের মতই নিয়মিত স্কুলে এসে সভাপতির চেয়ারে বসে স্কুলের সকল বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। এমনকি তার ঘনিষ্ট শিক্ষার্থীদের বেতন কমাচ্ছেন তিনি। স্কুল তহবিলের অর্থ দিয়ে নিয়মিত খাচ্ছেন খাবার। স্কুলের ভিতরে করেন ধুমপান। অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এসব কর্মকান্ডের জন্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
অভিভাবকদের অভিযোগ, সামসুল আলম সভাপতি হয়ে স্কুলে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি করেন। তার অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন তিনজন অভিভাবাক। অভিযোগের তদন্ত করা হয়। পরে তাকে সভাপতি পদ থেকে বাদ দিয়ে উএনওকে সভাপতি করে এডহক কমিটি হয়। ইউএনও সভাপতি হলেও নিজের মাতব্বরি ছাড়ছেননা সামসুল আলম।
এবিষয়ে জানতে সামসুল আলমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এডহক কমিটির সদস্য সচিব মো: জহিরুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি এসব ব্যাপারে কথা বতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এডহক কমিটির সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি স্কুলের সভাপতি। সাবেক সভাপতির কোন কিছু করার এখতিয়ার নেই। বিষয়টি আমি দেখছি। প্রধান শিক্ষক কেন নিষেধ করেন না তা এখনি জিজ্ঞাসা করছি।####

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা