March 29, 2024, 7:37 am

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-গৌতম রায়

শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) একজন সংগঠক মানে সংগঠনের নেতা। আর নেতা মানে সমাজের সকল শেণীপেশার মানুষের মন জয় করে সমর্থন পাওয়া এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠা। নেতার ব্যক্তি জীবনে অনেকগুলো গুণের মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তারই পাশাপাশি মনোবল ও চিন্তাশক্তি থাকাটাও ভীষণ জরুরি। রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বলিষ্ঠ ভূমিকায় দিতে হবে সঠিক নেতৃত্ব। সঠিক নেতৃত্ব ও দক্ষতার মাধ্যমে একজন সাধারণ মানুষ সমাজে হয়ে ওঠেন এক অসাধারণ নেতা। ঠিক তেমনি একজন কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায় উপজেলার সকল স্তরের মানুষের মন জয় করে জনগনের অভিভাবক বা আদর্শ নেতা হয়ে উঠেছেন। এই মানুষটি রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ড ও কর্মগুণে একজন ভালো নেতা ও পথপ্রদর্শক হিসেবে এলাকাবাসির মাঝে আস্থা অর্জন করেছেন।
এলাকাবাসির স্বপ্ন পুরণে ও তাদের সুখে-দঃখে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিদিন সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার হাট-বাজারে, মাঠে-ঘাটে, পাড়া-মহল্লার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করার পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারই ধারাবাহিকতাই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রতিটি বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করার পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গুনীজন, শিক্ষক, ইমাম, ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় সাবেক এবং বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন।
গৌতম রায়ের রাজনীতি জীবন ফিরে দেখি, খুব ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে ১৯৮৯ সালে কেশবপুর উপজেলার কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু এবং একই সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে স্বক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা ও ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে বিএনপির ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে ও পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে আওয়ামী যুবলীগ কেশবপুর উপজেলার কর্মী হিসেবে ২০০১ সাল পর্যন্ত দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা, নির্বাচনী কর্মকান্ড ও ভোট কেন্দ্র পরিচালনায় সক্রিয় দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বলিষ্ট ভূমিকা ও সদর ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব পালন করার কারণে নির্বাচনের পরের দিন তার পরিবারের উপর বিএনপি, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করেন। ২০০১ সালের পর হতে ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া, নিজামী, ইয়াজ উদ্দীন আজিজ হটাও আন্দোলনে দলীয় সকল কর্মসূচী সফল করতে সক্রিয় ভূমিকা ও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির ও নির্বাচনের দাবীর আন্দোলনে রাজপথে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন। ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেশবপুর উপজেলার সদস্য হিসেবে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেশবপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচন ও ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। গৌতম রায় রাজনৈতিক পরিচয় হিসাবে উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে জায়গা করে নেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেশবপুর উপজেলা শাখার ২০১৪ সাল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চলমান দায়িত্ব পালনকালে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন ও ২০২০ সালের জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে নির্বাচনী পরিচালনা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে দলীয় সমর্থীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছেন।

নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হয়ে ২০০৩ সাল হতে অদ্যবধি ৩ বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেশবপুর উপজেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও যশোর জেলার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও শিক্ষা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতি সহ সামজিক কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। নিজ গ্রামে অন্যতম ভূমিকা রেখে আলতাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আলতাপোল বঙ্গবন্ধু সাহিত্য সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন ও আলতাপোল আজাদ স্পোটিং ক্লাব পরিচালনা এবং উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। আলতাপোল কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন ও উন্নয়নে অবদান রেখে আসছেন।
সদর ইউনিয়নের একাধিক ভোটার জানান, চেয়ারম্যান পদে গৌতম রায় সৎ, নির্ভিক ও যোগ্য প্রার্থী হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায়, পথে-ঘাটে চায়ের দোকানে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন। আওয়ামীলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ছাত্র জীবন থেকে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হওয়ায় রাজনীতির ময়দান ও তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি ছাত্র ও যুব সমাজের মাঝেও তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দলের অনেক নেতা-কর্মী ও ভোটারদের দাবি সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে গৌতম রায় এর বিকল্প নেই।

সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনি মোহন রায় বলেন, পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা এ নেতা দলীয় মনোনীত প্রার্থী হলে সকল নেতা-কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে মাঠে নামবে। অন্য প্রার্থীদের থেকে তুলনামূলক বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়নবাসীকে সেবায় নিয়োজিত ও আওয়ামী রাজনীতিকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে পারবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গৌতম রায় এর সাথে একান্ত আলাপ কালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে মনে-প্রাণে ভালোবেসে খুব ছোটবেলা থেকে দল করে আসছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল খুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত একটি স্বনির্ভর সোনার বাংলা গড়ার।

বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পুরণে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের মানুষদের খুধামুক্ত করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে দাড় করেছেন। তার উন্নয়ন সেবা মানুষের দৌড় গড়ায় পৌঁছে দিতে ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আমাদের অবিভাবক দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে অন্যদের তুলনায় বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়নবাসীকে সেবায় নিয়োজিত রাখবো। এ ইউনিয়ন থেকে অন্যায়, অত্যাচার, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গী নির্মূল করে সমাজের সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নবাসী আমাকে ভালোবেসে যেভাবে বুকে আগলে ধরে রেখেছে, সেজন্য তাদের ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী। তাদের এই ঋণ পরিশোধ করতে আমি হয়তো কোনদিন পারব না, তবে আমি কথা দিলাম তাদের সুখে দুঃখে সর্বদা পাশে থাকব। ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগনকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর সুশৃংখল মডেল ইউনিয়ন পরিষদ গড়ে তুলবো।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা