April 19, 2024, 9:09 pm

শার্শায় হাতেম আলী হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন, আপন দুই ভাই গ্রেফতার

শামীম আখতার, বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের শার্শা থানায় হাতেম আলী সরদার হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সাথে জড়িত আপন দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার বলরামপুর গ্রামে আজগর আলী সরদারের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাবলু সরদার (৩২) জাহাঙ্গীর সরদারকে (৩৫) গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

শার্শা থানার লাউতাড়া গ্রামের হাতেম আলী সরদারের সাথে গত ১৩ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুরে রাস্তা দিয়ে চলাচলের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় জহুর আলী সরদারের।
জুম্মার নামাজ শেষে হাতেম আলী সরদার দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে নিজ বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন। ওই সময় জহুর আলী সরদারের দুই ছেলে বাবলু সরদার (৩২) জাহাঙ্গীর সরদার (৩৫) বাড়ির চলাচলের রাস্তার বিষয়ে আলোচনার কথা বলিয়া হাতেম আলী সরদারকে রাস্তায় ডেকে নিয়ে যায়। সরল বিশ্বাসে তাদের কথা মত রাস্তার বিষয়টি আপোষ-মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে বসত ঘরের পশ্চিম পার্শ্বে আসামীদের বসত বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় পৌঁছালে পরিকল্পিতভাবে হাতেম আলী সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাবলু সরদারের হাতে থাকা বাঁশের ভারী লাঠি দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে হাতেম আলী সরদারের মাথার বাম পার্শ্বে লেগে মারাত্মক গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে। তারপর জাহাঙ্গীর সরদারের হাতে থাকা লাঠিদ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জখম করে। তখন হাতেম আলী সরদারের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীএগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। মারাত্নক আহত অবস্থায় হাতেম আলীকে প্রথমে যশোর সদর হাসপাতালে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ আগস্ট দুপুরে মৃত্যুবরন করে। এ সংক্রান্ত নিহতের স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। যার মামলা নং-৬।
যশোর পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি) জাহাঙ্গীর আলম মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যাস্ত করেন।
পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসবি (পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার, পিপিএম এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোলাইমান আক্কাস, এসআই শামীম হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটা চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান সনাক্তপূর্বক অদ্য ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার বলরামপুর গ্রামে আজগর আলী সরদারের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সহিত প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত বাবলু সরদার (৩২), ও জাহাঙ্গীর সরদারকে (৩৫) গ্রেফতার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

আসামী ও মামলার ভিকটিম মৃত হাতেম আলী পরস্পর আত্মীয়-স্বজন। পূর্ব হতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে মর্মে আসামীরা স্বীকার করে।

যশোর জেলা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা