March 28, 2024, 12:44 pm

গাইবান্ধায় সাঘাটার ৮টি ইউনিয়নে নদী ভাঙন

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃপ্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র যমুনা নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীর তীব্র ¯্রােতে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ৮ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও আবাদি জমি।
ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির কারণে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, ভুষিরভিটা, রতনপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী, গলনা ও জিয়াডাঙ্গা গ্রামে সবচেয়ে বেশী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে বাড়ি-ঘর, গাছপালা ও আবাদি জমি। এছাড়াও ফুলছড়ি সদর, ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা এলাকায় ভাঙনের গতি বেড়েই চলছে। বাড়ি-ঘর, গাছপালা কেটে নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন নদী পাড়ের মানুষ। আশ্রয় নিচ্ছেন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে।
এদিকে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, সাঘাটা ও ভরতখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, হাটবাড়ী গ্রামে নদী ভাঙনে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার, ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, আবাদি জমি, গাছপালাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এ পর্যন্ত যমুনা নদীর ভাঙনে ২ শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর, বসতভিটা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা থেকে ভুষিরভিটা পর্যন্ত ৬৫০ মিটার এলাকা ভাঙনরোধের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ওই এলাকায় ৬৫ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এছাড়া সাঘাটায় ভাঙন কবলিত এলাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা