March 28, 2024, 9:32 am

তালায় অনাবৃষ্টির কারনে পাট চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হাজার হাজার কৃষক

মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ):সাতক্ষীরার তালায় অনাবৃষ্টিরা কারনে পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে ,ক্ষতির সম্মুখীন হাজার হাজার কৃষক।

চলতি বছরের বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা সেচ পদ্ধতিতে এবার পাট চাষ করেছেন।এই মৌসুমে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও কোন প্রকার বৃষ্টি না হওয়ায়,অতি কষ্টে সেচ পদ্ধতিতে চাষ করা পাটের চারা শুকিয়ে যাচ্ছে।চলমান আবহাওয়া ও তাপমাত্রা আরো কয়েকদিন থাকলে তালার কৃষকদের বপণ কৃত সোনালী আঁশ (পাট) গরমে পুড়ে যাবে আর তার ফলে পাট উৎপাদনে লক্ষমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে, এবং তালার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তালা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তালা উপজেলায় ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হলেও পাট চাষ হয়েছে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও বৃষ্টি না হওয়ায় কারনে এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে।তালা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এখনো আবহাওয়া কৃষি উপযোগী হলে এবং বৃষ্টি হলে পাট চাষ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো সময় আছে।উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে মাঠজুড়ে পাট চাষ লক্ষনীয় পর্যায়ে,তবে আবহওয়া কৃষি উপযোগী হলে এবং বৃষ্টি হলে এবছর তালা উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা সম্ভবনা ছিলো ।উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের চাষী শহিদুল ইসলাম খাঁ জানান,এবার মৌসুমীর শুরুতে সেচ পদ্ধতিতে পাটের বীজ বপন করেছিলাম, পাটের চারা গজানোর পর ১ থেকে দুই দিন পরপর জমিতে পানি দিয়ে পাটের চারা দেড় থেকে দুই ফুট হলেও আবহাওয়া অনুপযোগী থাকা ও বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পানিঅভাবে পাটের চারা চিকন ও শুকিয়ে যাচ্ছে। এ বছর পাট চাষে খরচ অনেক বেশি হবে। বর্ষা না হওয়ায় পাটখেতের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। উপজেলা সদরের আগোলঝাড়া গ্রামের কৃষক মো: বারিক হাওলাদার বলেন, আমি ২৮ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করেছি অন্যবারের তুলনায় এবার খরজ তিনগুন হয়েছে। সেচ দিয়ে চাষ করা পাট খেতগুলো ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কচি পাট গাছগুলো মরে যাচ্ছে। স্যালো মেশিনে পানি না উঠায় ফের সেচ দিতে পারছেন না আমরা। এখন বৃষ্টির জন্য আকাশ পানে চেয়ে আছি।
তালা উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার জানান, এ বছর তালা উপজেলায় ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হলেও পাট চাষ হয়েছে দুই হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক পাট চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের একটু সমস্যা হচ্ছে, এটা প্রাকৃতিক বিষয় বলে জানান তিনি। এছাড়া শুরুতে কৃষকের মাঝে সরকারি ভাবে পাটের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা