April 19, 2024, 2:11 pm

তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা

আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎ করে চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আদর্শিক মুলধারা ও পদ হারানো বির্তকিতরা মূখোমূখি অবস্থানে রয়েছে।এতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ-অসন্তোষের মাত্রা বাড়ছে। জেলার পদ হারানো সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ স্থানীয় সাংসদ ও গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে কটুক্তি করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।স্থানীয়রা জানান, পদ হারানো আসাদের
বেফাঁস মন্তব্যর কারণে রাজনীতির মাঠে দলের পদ হারানো ও তার অনুগতরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসাদের বক্তব্য প্রত্যাহার, তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে। তা না হলে আগামিতে তানোরের মাটিতে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তানোর থানা মোড়ে প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকারের সঞ্চালনায় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
এদিকে বক্তাগণ স্থানীয় সাংসদকে নিয়ে আসাদের করা কটুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানিয়ে বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরী শহীদ পরিবারের সন্তান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে, তিন বারের নির্বাচিত সাংসদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, জেলার সভাপতি-সম্পাদক, সিআইপি, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও জমিদার পরিবারের সন্তান। তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষের গর্ব। পক্ষান্তরে আসাদ চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনের ঘৃনিত ব্যক্তি। তার মতো বিতর্কিত ঘৃনিত ব্যক্তি এমপি ফারুক চৌধুরীর মতো গণমানুষের নেতাকে নিয়ে কটুক্তি করতে পারেন না এটা সহ্য করা হবে না। আগামিতে জনগণ এর দাঁতভাঙা জবাব দিবেন। প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও আসাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রচন্ড ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানান। এদিকে
প্রকাশে অনিচ্ছুক গোলাম রাব্বানী ও মামুনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সহচর প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসাদ একজন ভেজাল নেতা। তিনি বলেন, সে সব সময় দলে কোন্দল সৃষ্টি করে কখানোই আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেন না। তিনি এবারো বেফাঁস মন্তব্য করে রাব্বানী ও মামুন ভাইকে বিপদে ফেলেছেন। তারা বলেন, তৃণমুলে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তাতে রাব্বানী ও মামুন ভাইয়ের রাজনীতি এখানেই শেষ। কারন তারা মাঠে নামলে গণপিটুনির শিকার হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আসাদুজ্জামান আসাদের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা