April 23, 2024, 8:38 pm

মহাকবি’র জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীর রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষে অংশীজনের অংশগ্রহণ বিষয়ক সভা

শামীম আখতার বিভাগীয় প্রধান (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীর সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষে অংশীজনের অংশগ্রহণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক মধুপল্লীর ভেতর ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে মহাকবি’র জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি পরিদর্শন শেষে কবির পৈত্রিক বসতবাড়ি মধুপল্লী হিসেবে ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে মধুপল্লীর কাস্টোডিয়ান আইরীন পারভীন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, সাগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মেহেরুন্নেচ্ছা, ফটো সাংবাদিক মুফতি তাহেরুজ্জামান তাছু, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক পরেশ দেবনাথ, ইউপি সদস্য সুভাষ দেবনাথ, মধুসূদন একাডেমির পরিচালক আব্দুর ছাত্তার, পল্লী চিকিৎসক তপন দেবনাথ, বিশ্বনাথ দত্ত প্রমূখ।

আরো উল্লেখ্য, মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সরকারী বিধি-নিষেধের প্রেক্ষিতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পরপর ৩ বছর সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা পালন করা হয়নি। শুধুমাত্র ২৫ জানুয়ারি মহাকবি’র জন্মদিনে স্বল্পপরিসরে মধু মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা ও করোনার লকডাউনে মধুপল্লী বন্ধ থাকায় অনেকটা পড়েছে মধুপল্লীর রাজস্ব আয়ের উপর।

তবে, আগামী ২৫ জানুয়ারী-২০২৩ মহাকবির ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী। মহাকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে জেলা কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে দীর্ঘসময় ধরে উম্মুক্ত আলোচনা সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে মহাকবির জন্মদিন উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা উদযাপন করা হবে। মধুমেলাকে ঘিরে দেশ-বিদেশের হাজার-হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মধুপ্রেমী ও বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়ির মধুপল্লী সহ গোটা এলাকা।
পরপর তিন বছর সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা উদযাপন করা না হলেও এবার যশোর জেলা ও কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সপ্তাব্যাপী মধুমেলা জাঁকজমকপূর্ণ করতে মধু মঞ্চে বরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, খ্যাতনামা শিল্পীদের গান, উম্মুক্ত সামাজিক যাত্রাপালা সহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যার জন্য মধুপল্লীর কাস্টোডিয়ানসহ সকল নিয়োজিত কর্মকর্তারা আশা করছেন মধুপল্লীতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার যুগ্ন-সম্পাদক ইনামুল হাসান নাঈম, প্রচার সম্পাদক মোস্তফা কামাল, মাষ্টার মতিয়ার রহমান, পল্লী চিকিৎসক ননী গোপাল, সীমান্ত কুমার দাস, রবিউল ইসলাম, লিয়াকত আলী বিশ্বাস, রাশেদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, জামাল গাজী, শামছুর রহমান ছাম, আলতাপ হোসেন, নারান বিশ্বাস, অসিম হালদার, শ্যামল হালদার, আমিনুর রহমান, উজ্জ্বল দাস সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ব্যক্তিবর্গবৃন্দ।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা