April 24, 2024, 11:16 am

হাই‌কো‌র্টের নি‌র্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাসড়কে হরহামেশা চলছে অবৈধ লেগুনা

স্টাফ রিপোর্টার। হাই‌কো‌র্টের নি‌র্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লেগুনা চলাচল করছে হরহামেশা। 

মহাসড়কে লেগুনা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার কথা বলে শিমরাইল এক্সপ্রেস লিমিটেড ও লেগুনা মালিক সমিতির নামে এসব লেগুনা থেকে মাসে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে লাক্ষ লাক্ষ টাকা । 

লেগুনা মালিক সূত্রে জানা যায় , ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত দের থেকে দুই শতাধিক লেগুনা চলাচল করছে প্রতিদিন। প্রতিটি লেগুনা থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে ৫৭০ টাকা করে। এর মধ্যে চিটাগাং রোডে লাইনম্যানের নামে ৩০ টাকা, সাইনোবোর্ডে লাইনম্যানের নামে ২০, যাত্রাবাড়ীতে লাইনম্যানের জন্য ৭০ আর জিপি চাঁদা ৪৫০ টাকা। 
এছাড়া স্টিকার লাগানোর জন্য গাড়িপ্রতি মাসিক চাঁদা এক হাজার টাকা। সে হিসাবে স্টিকারসহ দের থেকে দুই শতাধিক লেগুনা থেকে মাসে চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।

 
লাইনে নতুন গাড়ি নামাতে হলে ‘সালামি’ দিতে হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে সালামি বাবদ হাতিয়ে নেওয়া হয় কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে লেগুনা চলছে শিমরাইল এক্সপ্রেস লিমিটেড (এসইএল) নামক কোম্পানির ব্যানারে। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন ওই কোম্পানির এমডি হাসানুজ্জামান পরশ। 

লেগুনা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ মোল্লার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীতে মনগড়া মত চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে । যাত্রা বাড়িতে চাঁদা আদায় করে কাউসার, অনিক, শাহআলম ও নয়ন নামে চার চাঁদাবাজ । 

শিমরাইলে হাজি আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেট ও ডাচ বাংলা ব্যাংক সাবেক ইউটান মহাসড়কে লেগুনা স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে থাকা ওই কোম্পানির এমডি হাসানুজ্জামান পরশ।।

সশরীরে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ লেগুনার চালক ও হেলপার বেশির ভাগ অপ্রাপ্ত বয়স্ক নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স গাড়ি তে বসে মাদক সেবন করার অভিযোগ করেছেন ড্রাইভার হেলপারদের বিরুদ্ধে যাত্রিরা।

বেশিরভাগ গাড়ি লক্কড়-ঝক্কড়। ঠিক নেই কাগজপত্র। নেই রুট পারমিট। তবু কর্মরত হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়ে মহাসড়কে চলছে এসব লেগুনা। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গাড়ি মালিকের অভিযোগ, মাসিক এক হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে গাড়ির সামনে গ্লাসে স্টিকার লাগাতে হয়। এটা বাধ্যতামূলক। স্টিকার না লাগিয়ে গাড়ি সড়কে চলাচল করতে পারে না। করলে চালকদের মারধর, গাড়ি ভাংচুর ও আটকিয়ে রাখেন সমিতির নেতারা।

এ ব্যাপারে জানতে। শিমরাইল এক্সপ্রেস লিমিটেডের এমডি হাসানুজ্জামান পরশের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য অনলাইনে দেয়া আছে যা জানার ওখান থেকে জেনেনিন। তিনি আরো বলেন আমি এগুলো ছেড়ে দিয়েছি আমি রিটায়ার্ডে আছি।আপনার কিছু জানার দরকার হলে অনলাইনে চার্জ দেন সব তথ্য পেয়ে যাবেন।

চিটাগাং রোড ও সাইনবোর্ডে দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআই (প্রশাসন) সরফুদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন।
আমরা জনবল সংকটে আছি যেখানে 160 জন কনস্টেবল দরকার সেখানে আছে মাত্র ২২ জন চাইলেই তো একেবারেই সবকিছু সম্ভব না।

হাইওয়ে পুলিশের কাচপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমিত সূত্রধর বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মহাসড়কে লেগুনা চলাচল করতে পারবে না। চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই। মহাসড়কে লেগুনা চললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে আমার প্রতিনিয়ত রেকারিং মামলা দিচ্ছি তবে একেবারেই তো সবগুলো বন্ধ করা সম্ভব না।

একাধিক বার ভিবিন্ন পত্রিকা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার করা হলেও সাক্ষাৎ কারে মহাসড়কে লেগুনা চলাচল করতে পারবে না। এমন বক্তব্য দিলেও ব্যবস্থা নেয় নি দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা। আরো জানতে চোখ রাখুন পরের সংখ্যায়।

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা